প্রতিদিনের মতো আজও ঘুম থেকে টেনে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে আজ একটু ব্যতিক্রম—ঘুম থেকে তুলেছে কেউ একজন, যার ঠোঁটে হাসি আর চোখে রাগের আভা। নাস্তার টেবিলে বসে ঝিমুচ্ছি। আগে আম্মু কান ধরে তুলতেন, আর এখন… এখন তো রুপা আছে—ওর পদ্ধতি একটু ভিন্ন। কান ধরে না, তবে কামড় দেওয়ার অভ্যাসটা যেন সার্টিফিকেটসহ পাকা।
প্রেমের সময় সব কিছুই যেন মধুর লাগে। ওর ঐ কামড়গুলোও ভালোবাসার ছোঁয়া বলে মনে হতো। কিন্তু বিয়ের পরে জীবনটা যেন হলুদ পাতার মতো—উপকারে লাগে ঠিকই, কিন্তু স্বাদটা তিতা। কথায় বলে, “সুখে থাকতে ভূতে কিলায়!” আর আমি সেই সুখে থাকা লোক, যার সুখটা রোজ রুপার রাগে ফাটে।
“এই, তুই এমন ঝিমাচ্ছিস কেন?” — রুপার কণ্ঠে রাগ, আর চোখে সন্দেহ।
তুই বলায় কারও অবাক হওয়ার কিছু নেই। প্রথমে ছিল ‘ক্রাশ’, তারপর ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’, তারপর প্রেমিকা, আর এখন বউ। সম্পর্কের পদোন্নতি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ভাষার উন্নতি হয়নি। ‘তুই’ থেকেই যায়।
আমি হেসে বলি, “তোর কামড়ে বিষ ছিল মনে হয়, ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে যাচ্ছি।”
এমন সময় আম্মু এসে টেবিলে বসে বললেন, “এই, তোর গাল লাল কেন?”
একটা সোনালী সুযোগ পেয়ে আমি বলেই ফেললাম, “আর বলো না আম্মু, কুত্তা কামড় দিয়েছে।”
“কি বলিস! কুত্তা তোরে কামড় দিল কেন?”
“সেইটা কুত্তারে জিজ্ঞেস করো।”
Best Love Story Bangla
আমার কথা শেষ হতে না হতেই রুপার চোখ জ্বলে উঠলো। সেই চেহারা দেখে মনে হচ্ছিল, এখনই যদি সুযোগ পায়, একটা বোমা ছুড়ে উড়িয়ে দেবে আমাকে।
টেবিল থেকে উঠে রুমে চলে এলাম। পিছনে শুনতে পেলাম, রুপা আর আম্মু গল্পে মশগুল। আমি রেডি হচ্ছি অফিস যাওয়ার জন্য। যত তাড়াতাড়ি অফিসে যাওয়া যায় তত ভালো—কারণ এই মেয়ে অনেক ডেঞ্জারাস। ভাবলাম পালিয়ে বাঁচি।
কিন্তু যেই ভাবি, অমনি রুপা এসে হাজির। আগুন চোখে বলল, “তুই আমাকে কুত্তা বললি কেন?”
আমি বলি, “তোরে বলি নাই তো।”
“গালে তো আমিই কামড় দিছি।”
“ওহ, সরি! তাহলে কুত্তি হবে। তুই তো আর ছেলে না, তাই কুত্তা হবি কেন?”
রুপা ঠোঁট কামড়ে বলল, “দেখ, আমি এখন তোর বন্ধু না, তোর বউ।”
আমি বলি, “সেটাই তো দুঃখ! নিজের ইচ্ছায় গলায় দড়ি দিছি, এখন তো ফাঁসিতে ঝুলতে হবেই।”
“মানে?”—রুপা জিজ্ঞেস করলো।
“মানে খুঁজতে গেলে বিপদ বাড়বে। আরেকটা কামড় না দিয়ে একটা কিচুমিচু দিবি তো গালে?”
“ইচ্ছা করছে থাপ্পড় মারি!”
“তাহলে থাক, আর লাগবে না।”
অফিসে গিয়ে মনে হলো রুপা হয়তো আজ ফোনই দেবে না, কথা তো দূরের ব্যাপার। কিন্তু বিকেল ২টার সময় ফোন এল!
“হ্যালো?”—আমি বললাম।
“তুমি কি তাড়াতাড়ি আসবে?”—রুপার কণ্ঠে অভিমান।
“কিছু হয়েছে?”—আমি চিন্তিত।
“হবেটা আবার কী? বলছি, আসো।”
New Best Bangla Golpo
ফোন রেখে আমি ভাবতে লাগলাম। নিশ্চয় আজকের দিনে কিছু একটা স্পেশাল আছে, যেটা আমি ভুলে গেছি। বিবাহবার্ষিকী? না না, পাঁচ মাসও হয়নি। তাহলে রুপার জন্মদিন?
মোবাইলের নোট খুলে দেখি—বাহ! আজ তো সত্যিই রুপার জন্মদিন! আর আমি সকালে তাকে উইশ তো করিনি বরং রাগিয়ে দিয়েছি। নিজের জন্মদিন মনে থাকে না, ওরটা মনে থাকবে কেমনে?
ভাবলাম, অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ছুটি নিয়ে বাসায় ফিরব। কিন্তু বিধি বাম। ছুটি পেলাম সবচেয়ে শেষে! বস এমন সময় একটা ফাইল ধরিয়ে দিলেন, যেন অপেক্ষায় ছিলেন।
রাত ১০টার দিকে বাসায় ফিরলাম। দরজা খুলতেই দেখি, আম্মু আর রুপা টিভির সামনে গম্ভীর মুখে বসে। আম্মু বললেন, “আমরা খেয়ে নিয়েছি। তুইও খেয়ে নে।”
আমি বললাম, “ভালই, আমিও বন্ধুর বাসায় খেয়ে এসেছি।”
আসলে খাইনি কিছুই। কিন্তু তাদের রাগ দেখেই বুঝলাম, এখন কিছু বলার সময় নয়। বিছানায় গিয়ে দেখি, কোলবালিশও নেই। বিয়ের পর রুপা সেটা টুকরো টুকরো করে ফেলে দিয়েছে। কোলবালিশ ছাড়া ঘুম হয় না আমার।
বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। হঠাৎ চমকে উঠলাম—রুপা গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে, চোখে অশ্রু। চাঁদের আলোয় ওকে অপরূপ লাগছে, যেন কোনো সিনেমার দৃশ্য।
“এই, কী হয়েছে? কাঁদছ কেন?”—আমার মুখ দিয়ে আপনাতেই বেরিয়ে গেল ‘তুমি’।
রুপা কোনো উত্তর দিল না।
“রুপা, আজ তোমার জন্মদিন ছিল, তাই না?”
“জানি না।”
“তুমি ভাবছো আমি ভুলে গেছি?”
“প্রতিবারই ভুলে যাও, এবারো তাই।”
আমি বললাম, “এইবার মনে ছিল, এই দেখো।”
Valo Bangla Valobasar Golpo
আমি একটা ছোট প্যাকেট রুপার হাতে দিলাম। খুলে দেখে ও অবাক—বিভিন্ন ডিজাইনের অনেকগুলো পায়েল।
“তুমি জানলে আমি পায়েল পছন্দ করি?”
“জানি না? ভালোবাসার মানুষ কী চায়, সেটা না জানলে প্রেম কি পূর্ণ হয়?”
রুপা হঠাৎ আমাকে জড়িয়ে ধরল, খুব শক্ত করে। আর কিছু না বলে কাঁদতে লাগল। তবে এবার আনন্দের কান্না।
“চল কেক কাটব!”—আমি বললাম।
“কেক কোথায়?”
“রুম থেকে বের হলেই দেখবে।”
রুম থেকে বেরিয়ে রুপা অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। টেবিলের উপর বড় একটা চকোলেট কেক, তাতে লেখা ‘Happy Birthday Rupa’। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন আম্মু আর আব্বু। আম্মু হাসছেন, চোখে জল টলটল করছে।
আমরা সবাই মিলে কেক কাটলাম। রুপা এখন কান্না করছে, কিন্তু সেটা আনন্দের। আম্মু কেক এনেছেন, আমাকেও বলেছিলেন যেন দেরিতে আসি। তাই ৪টার ছুটি পেয়েও এসেছি ১০টায়—বিশেষ চমকের জন্য।
রাত শেষ হতে চলেছে। রুপা আর আমি রুমে ঢুকলাম। কিন্তু ও আবার বারান্দায় গেল। আমি পেছনে পেছনে গিয়ে দেখলাম—ও আবার চুপচাপ দাঁড়িয়ে, চোখে জল।
“এখন কী হলো, ম্যাডাম?”
Cute Bengali Love Story

“আজ সারাদিন মন খারাপ করে রাখলে কেন?”
“মন খারাপ ছিল বলেই এখন বেশি খুশি।”
“তুমি জানো, আমি কত্ত কাঁদছিলাম?”
“হিহিহি, জানিনা।”
“তুমি লক্ষ্য করেছো, আমরা এখন ‘তুই’ থেকে ‘তুমি’তে চলে গেছি?”
“হ্যাঁ! সত্যিই তো! আরেকটা কথা বলবো?”
“হ্যাঁ, বলো।”
“আগের মতো আমাকে একবার জড়িয়ে ধরবে?”
এটা বলেই রুপা নিজেই আমাকে জড়িয়ে ধরল। অনেক শক্ত করে। আমি ছুটতে পারতাম, কিন্তু ছুটিনি। কারণ এই মুহূর্তটা অমূল্য।
“রুপা…”
“কি?”
“শুভ জন্মদিন। এখন ১১টা ৫৯ বাজে। তোমার জন্মদিন শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে বললাম। সবাই তো আগে উইশ করতে চায়, আমি শেষে করলাম। ব্যতিক্রমী ভালোবাসা বলেই ধরো।”
রুপা কিছু বলল না, শুধু আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরল… যেন এই এক মিনিটেই সমস্ত ভালোবাসা ঢেলে দিতে চায়।
শেষ মিনিটে বললেও, ভালোবাসা যে ঠিক সময়েই আসে, সেটা আজ প্রমাণ হলো।
রাত তখন ১২টা পেরিয়েছে। রুপা এখনো আমার বুকে মাথা রেখে দাঁড়িয়ে। আমি ওর চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। আমাদের এই শান্ত মুহূর্তটা যেন সময়কেও থামিয়ে দিয়েছে।
হঠাৎ রুপা ফিসফিস করে বলল,
“তুমি জানো, আমি সারাদিন না কিছুই খাইনি… শুধুমাত্র তোমার অপেক্ষায় ছিলাম।”
আমি হেসে বললাম,
“তাহলে এখন রান্নাঘরে গিয়ে সারা ফ্রিজ খালি করে ফেলো।”
“তুমি সব সময় এই রকম হালকা কথা বলে রোমান্টিক মুড নষ্ট করো!” — ওর ঠোঁট ফুলে উঠল।
“আরে না, আমি তো বলছি, এখন থেকে প্রতিটা জন্মদিনে একটাই নিয়ম থাকবে—রাত ১১:৫৯-এ উইশ আর তারপর একসাথে বারান্দায় দাঁড়িয়ে চাঁদের আলোয় চোখে চোখ রেখে কিছু না বলেও সব কিছু বলে দেওয়া।”
রুপা আবার হেসে ফেলল। আর সেই হাসিটাই আমার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
পরের দিন…
সকাল সকাল অফিসে যাবো বলে রেডি হচ্ছি। হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন কোমর জড়িয়ে ধরল।
“আজকে তুমি লাঞ্চ বাইরে করবে না। অফিসে আমি তোমার জন্য লাঞ্চ পাঠাবো।”
“সিরিয়াসলি?”—আমি অবাক।
“হ্যাঁ। নিজের হাতে রান্না করব, আর এমন রান্না যে খেয়ে তুমি আর ক্যান্টিনের ঝোল মাংস মুখেও তুলবে না।”
“তুমি কি আগুন দিয়ে রান্না করো না তোমার রাগ দিয়ে?”—আমি মজা করে বললাম।
“বাজে কথা বললে আজ রাতেও কোলবালিশ ছাড়া ঘুমাতে হবে!”—ও চোয়াল শক্ত করে বলল।
আমি বুঝে গেলাম, রুপা আবার পুরনো রুপায় ফিরে এসেছে।
দুপুরে অফিসে ঠিক ১টায় আমার ডেস্কে খাবার পৌঁছাল। টিফিন খুলে দেখি, আলুভাজা, ডিম কারি, আর গরম ভাত—গন্ধেই মন ভালো হয়ে গেল। খাবারটা সত্যিই দারুণ ছিল। খেয়ে ফোন করলাম রুপাকে।
“তুমি তো দারুণ রান্না করো!”—আমি প্রশংসা করলাম।
“হুঁ, আমি তো সব পারি।”
“একটা কথা বলি?”—আমি একটু থেমে বললাম।
“বলো।”
Best Bengali Golpo
“তুমি আমায় ভালোবাসো না?”—আমি জানি এটা অদ্ভুত প্রশ্ন, কিন্তু হঠাৎ করে মনের ভেতর থেকে বেরিয়ে এল।
ও একটু চুপ করে থাকল, তারপর বলল,
“ভালোবাসি। এতটাই ভালোবাসি, যে রাগ করে থাকতে পারি, কিন্তু দূরে থাকতে পারি না।”
সেই কথাটা শুনে মনে হলো, অফিসটা এখন কোনো প্রেমের উপন্যাসের সেট। আমার চোখে জল এসে গেল।
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরতেই দেখি, রুপা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে, হাতে একজোড়া কাগজ।
“কি এসব?”—আমি জিজ্ঞেস করলাম।
“চলো, কাল আমরা দুজনে একদিনের জন্য ঘুরতে যাব। শুধু তুমি আর আমি। মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া, দুনিয়ার সব কিছু বন্ধ করে একদিন শুধু আমাদের জন্য।”
আমি অবাক, “তুমি এগুলো প্ল্যান করলে কখন?”
“তুমি যখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমার সাথে শেষ মিনিটে জন্মদিন পালন করছিলে, তখন ঠিক করেছিলাম, এবার ভালোবাসাটাকে একটু ঘন করে ছুঁয়ে দেখতে হবে।”
পরদিন ভোরবেলা আমরা দুজন রওনা হলাম শান্তিনিকেতনের দিকে। ট্রেনে বসে জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখছিলাম, আর পাশে রুপা মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিল। ওর নিঃশ্বাসের শব্দে মনে হচ্ছিল, আমার বুকের ভেতরে একটা নদী বয়ে যাচ্ছে—শান্ত, নরম আর গভীর।
শান্তিনিকেতনে পৌঁছে আমরা একটা ছোট্ট হোমস্টে নিলাম। সাদামাটা ঘর, কিন্তু খাঁটি বাংলার গন্ধ মেশানো। দুপুরে কাঁচা পাতার ওপর গরম ভাত, আলুভর্তা, মাছের ঝোল খেয়ে রুপা বলল,
“এই অনুভূতিগুলো যদি বোতলে ভরে রাখা যেতো, আমি প্রতিদিন খুলে খুলে শুঁকতাম।”
বিকেলে রবীন্দ্রনাথের আশ্রমে হাঁটছিলাম। এক জায়গায় গিয়ে রুপা থেমে গেল।
“একটা কথা বলি?”—রুপা বলল।
“বলো।”
“তুমি আমাকে একটা চিঠি লিখে দাও। হাতের লেখা চিঠি। আমি তোমার মেসেজে আর শুধু ‘ভালোবাসি’ পড়ে পড়েও তৃপ্তি পাই না। আমি চাই, তুমি আমাকে মেলে ধরো কাগজের ভাঁজে ভাঁজে।”
সেই মুহূর্তে মনে হলো, রুপা শুধু আমার প্রেমিকা বা বউ নয়—ও আমার ভালোবাসার কবিতা, যা আমি প্রতিদিন লিখে যাচ্ছি।
আমি হেসে বললাম,
“তোমাকে শুধু চিঠি না, আমি একটা ডায়েরি লিখব—আমার ‘প্রেমের দিনলিপি’, যার প্রতিটা পাতায় তুমি থাকবে।”
রাত হয়ে এল। খোলা আকাশের নিচে দুজনে বসে চাঁদ দেখছি। হঠাৎ রুপা আমার কাঁধে মাথা রেখে বলল,
“তুমি জানো, আগের রাতে যখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমি চুপ করে ছিলাম, আমি ভেবেছিলাম তুমি আমার জন্মদিন ভুলে গেছো। আমি ঠিক করেছিলাম, কিছু না বলে চলে যাব। কিন্তু শেষ মিনিটে যখন তুমি উইশ করলে, মনে হলো ভালোবাসা আসলে দেরিতে এলেও ঠিক সময়ে পৌঁছায়।”
আমি বললাম,
“আর আমি জানলাম, ভালোবাসা তখনই সত্যি হয়, যখন অভিমান ভেঙে হাসি আসে।”
সে রাতের চাঁদ যেন আমাদের মাথার উপর আশীর্বাদের মতো ঝুলে ছিল।
ভোরে ফিরে এলাম শহরে। জীবনের ব্যস্ততা আবার শুরু হল। কিন্তু আমাদের মধ্যে এখন একটা পরিবর্তন এসেছে। আমরা রাগ করি, ঝগড়া করি, ঠোঁট ফুলিয়ে থাকি—but ঠিক ১১:৫৯-এ, যখন চাঁদ উঠে, তখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে আবার ভালোবাসি বলি।
Best Bengali New Love Story 2025
শেষ মিনিটের ভালোবাসা এখন আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাস।
আর আমার প্রেমের দিনলিপি? হ্যাঁ, সেটাও চলছে—প্রতিদিন নতুন এক পাতা, যেখানে রুপার হাসি, অভিমান, ভালোবাসা আর চোখের জল সব জায়গা করে নেয়।
প্রেম তো এভাবেই বেঁচে থাকে—কখনো চাঁদের আলোয়, কখনো চোখের জলে, কখনো বা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা শেষ মিনিটের একটুকরো মুহূর্তে…