ইদানীং সকালে কেউ যদি “Good Morning” বলে, অভির মনটা খারাপ হয়ে যায়। মনে হয়, এই বোরিং জীবনের মাঝে সকাল বলে কিছু নেই। দিন শুরু হয় একঘেয়ে ভাবনায়—ঘুম থেকে উঠে মনে হয়, “What’s so good about this morning?”
আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়। অভি ফোনে ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ লগআউট করে দেয়। কাল রাতে মিথিলার সঙ্গে আবার ঝগড়া হয়েছে, A লেভেলের ঝগড়া। অথচ ঠিক কী নিয়ে যে হয়েছে, সে নিজেও বুঝে উঠতে পারে না। অভি ভাবে, আজ ওকে একদম কল করবে না। একটু দূরে থাকলেই হয়তো শান্তি আসবে। কিন্তু মনটা সে কথা মানে না। কারণ মিথিলার মতো মেয়ে এত সহজে ভুলে থাকা যায় না।
প্রথম দেখাতেই ভালোবাসা হয়নি তাদের। বরং, একে অপরকে কিছুটা অপছন্দই করত। অদ্ভুত কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে একসময় তাদের সম্পর্ক তৈরি হয়, কিন্তু তার মাঝেও রয়ে গেছে একধরনের অভিমান, একধরনের ভালোবাসা যা না থাকলেও চলে না, কিন্তু থাকলেও শান্তি নেই।
Bengali Romantic Love Story
বাথরুমে দাঁড়িয়ে অভি চিন্তা করতে থাকে—আজ সারাদিন কিভাবে যাবে? কীভাবে মিথিলাকে এড়িয়ে চলবে? ঠিক তখনই ফোনে তিনটা মিসড কল আসে। বুক ধড়ফড় করে ওঠে। “মিথিলা যদি হয়?” মনে মনে ভয় পায় অভি।
কিন্তু না, কলগুলো রুপুর। ভাবতে ভাবতেই আবার ফোন বাজে।
– “কোথায় ছিলি রে? এতক্ষণে ফোন ধরছিস!” – রুপুর কণ্ঠে চিরচেনা ঝাঁঝ।
– “কি হয়েছে? এত রেগে আছিস কেন?”
– “কাল রাতে তোর মিথিলার সাথে ঝগড়া হয়েছিল, তাই না?”
অভি চমকে ওঠে।
– “তুই জানলি কীভাবে? কেউ কিছু বলেছে?”
– “তোকে কিছু বলেনি? আচ্ছা, গলির মুখে আয়, আমি সব বলছি।”
কথা শেষ না করেই লাইন কেটে দেয় রুপুর। অভি ব্যাকুল হয়ে ওঠে। দৌড়ে রিকশায় ওঠে। মাথার ভেতর তোলপাড়—কি এমন ঘটেছে?
গলির মুখে পৌঁছাতেই রুপুর মুখ কালো করে দাঁড়িয়ে।
– “মিথিলা হাসপাতালে। সবাই বলছে, গতরাতে নাকি কিছু একটা করেছে!”
– “কি বলছিস!” অভি চিৎকার করে ওঠে।
– “সকালে ডাকতে গিয়ে সাড়া না পেয়ে ওর ভাইয়া দরজা ভেঙে দেখে, মিথিলা বিছানার নিচে পড়ে আছে।”
Bengali Couple Love Story 2025
এই বাক্যের পর থেকে অভির কান আর কিছু শুনতে পায় না। সব শব্দ যেন স্তব্ধ হয়ে যায়। চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।
সে ভাবতে থাকে—এই আমি কি সত্যিই মিথিলাকে হারাতে যাচ্ছি? এই পৃথিবী কি এতটাই নিষ্ঠুর?
রিকশার হাওয়ায় ভেসে যেতে থাকে তার স্মৃতি। প্রথম দেখা, প্রথম কথা, প্রথমবার “ভালোবাসি” বলা। আর আজ এই খবর!
ঠিক তখনই রুপুর ফোনে কল আসে।
– “হ্যাঁ, আমরা আসছি। অভিও আমার সাথেই আছে।”
– “তুই ফোনটা রাখ, এখন চলো।”
রিকশা থেমে যায় এক রেস্টুরেন্টের সামনে। অভি অবাক হয়ে যায়।
– “এখানে কেন?”
– “চল আগে ভেতরে। কেউ একজন তোকে দেখতে চাইছে।”
রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই অভি দেখে, মিথিলার সব বন্ধু-বান্ধবরা দাঁড়িয়ে। তারা সবাই হাসছে, কিন্তু অভির চোখ খুঁজে ফেরে একটিই মুখ—মিথিলার।
সবার পেছনে, জানালার ধারে বসে আছে মিথিলা। হালকা রোদে মুখটা ঝলমল করছে। যেন অপ্সরা।
চোখ ভিজে ওঠে অভির। কাছে গিয়ে সে ফিসফিস করে বলে—
– “আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তুমি জানো? আমি তোমাকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারি না।”
মিথিলা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে মুখ ঘুরিয়ে বলে—
– “তুমি এত ভালোবাসো, অথচ আমার জন্মদিনটা পর্যন্ত ভুলে গেলে? গতকাল কত হিন্টস দিলাম! কিছুই বুঝলে না। তাই তো এই শাস্তি দিলাম।”
অভি স্তব্ধ হয়ে যায়। জন্মদিন? সে সত্যিই ভুলে গিয়েছিল। একটুও মনে ছিল না!
সে নিচু গলায় বলে—
– “I’m so sorry… And I really love you. Trust me, তুমি ছাড়া আমি কিছুই না।”
মিথিলা এবার হাসে। সেই পুরোনো হাসি, যা দেখে অভি প্রথম প্রেমে পড়েছিল। চারপাশটা হঠাৎ রঙিন হয়ে ওঠে।
অভি মনে মনে ভাবে—এই জন্মদিনের “শাস্তি” ওর জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হয়ে থাকবে।
সে জানে, প্রেম মানে শুধু হাসি-ঠাট্টা নয়, প্রেম মানে মান-অভিমান, ভুল-ভ্রান্তি, আর শেষ পর্যন্ত ভালোবাসার কাছে ফিরে আসা।
এবং এটাই ছিল তার গল্পের শুরু..
Best Bengali New Love Story 2025
মিথিলার জন্মদিনে “শাস্তি” হিসেবে মিথ্যা নাটক করে, অভিকে চোখে জল এনে দিয়েছিল সে। সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা অভির হৃদয়ে এমনভাবে দাগ কেটে দিয়েছিল, যেন প্রতিটা নিঃশ্বাসেই সে মিথিলার গুরুত্ব বুঝে গিয়েছিল।
তারপর কেটে গেছে প্রায় ২ মাস। সম্পর্কটা আগের চেয়ে অনেক সুন্দর, অনেক গভীর হয়েছে। কিন্তু, পৃথিবীর সব প্রেম কি চিরকাল মধুর থাকে?
🌙 একটা বিকেল: কিছু অচেনা ছায়া
সেদিন ছিল একেবারে সাধারণ একটা বিকেল। অভি আর মিথিলা হাতে হাত ধরে হাঁটছিল কলেজের পাশের রাস্তা ধরে। রোদটা একটু কম, বাতাসে একধরনের শান্তির গন্ধ। হঠাৎ মিথিলা থেমে গিয়ে বলে—
— “তোমার সাথে একটা জরুরি কথা আছে।”
অভি একটু চমকে যায়, গম্ভীর মুখ দেখে। — “কি হয়েছে?”
— “আমার বাসার অবস্থা তুমি জানোই। মা প্রতিদিন ঝগড়া করে, বলছে—তুমি চাকরি না করলে, বিয়ে-টিয়ে সব বন্ধ। আর বাবা তো জানেই না আমাদের সম্পর্কে। এখন আমার বাড়ি থেকে প্রপোজাল আসছে… আর আমি রিফিউজ করতে পারছি না।”
অভির মাথায় যেন বাজ পড়ে। সব কিছু থেমে যায়। শুধু একটাই শব্দ ঘুরতে থাকে মনে—প্রপোজাল! অন্য কারো সাথে?
— “তুমি কী বলতে চাইছো, মিথিলা?” কণ্ঠটা শুকিয়ে আসে।
মিথিলা চোখের পানি লুকাতে লুকাতে বলে—
Bangla Valobasar Golpo
— “আমি চাই, তুমি আমার বাবার সাথে কথা বলো। কিছু একটা করো। আমি তোমাকে ছাড়া কাউকে কল্পনা করতেও পারি না। কিন্তু আমি একা আর পারছি না।”
অভির হৃদয়টাও যেন ভার হয়ে আসে। সে জানে, চাকরি নেই, পকেটে টাকাও নেই, বাবা-মায়ের কাছেও কিছু বলার অবস্থা নেই। কিন্তু এই মুহূর্তে একটা সিদ্ধান্ত না নিলে, সে মিথিলাকে হারাবে।
সে শুধু মিথিলার হাত ধরে বলে—
— “আমি কথা দিচ্ছি, কিছু একটা করব। কিন্তু তুমি প্লিজ কাউকে হ্যাঁ বলো না। একটু সময় দাও আমায়।”
💻 রাত ১১টা: নতুন যুদ্ধের শুরু

সেই রাতেই অভি সিদ্ধান্ত নেয়—কোনোভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবে। আগেও দু-একবার চেষ্টা করেছিল, সফল হয়নি। কিন্তু এবার তার ভিতরে এক অদ্ভুত জেদ, এক পাগলামো।
সে রাত জেগে Fiverr আর Upwork এর প্রোফাইল সাজায়, কভার লেটার লিখে ছড়াতে থাকে, ইউটিউব ভিডিও দেখে শেখে কিভাবে ক্লায়েন্টকে ইমপ্রেস করতে হয়।
প্রথম কিছু দিন কেটে যায় হতাশায়, কিন্তু হঠাৎ একদিন সন্ধ্যায় প্রথম অর্ডার আসে—৫০ ডলারের একটা প্রজেক্ট। অভি যেন পাখা পেলো।
প্রতি রাতে, ঘুম না গিয়ে কাজ, কাজ, আর কাজ। ফোনে মিথিলা বুঝতে পারে, অভি আগের চেয়ে একটু কম সময় দিচ্ছে, কিন্তু তার ভিতরেও একধরনের ভালো লাগা—“এই ছেলেটা আমার জন্য কতটা যুদ্ধ করছে!”
📞 একরাতে মিথিলা কল করে—
— “তুমি কি আমাকে আগের মতো ভালোবাসো?”
অভি হেসে বলে—
— “আগে তো শুধু ভালোবাসতাম, এখন যুদ্ধ করছি তোমার জন্য। এখন তুমি শুধু প্রেমিকা না, তুমি আমার কারণ, আমার জেদ।”
মিথিলার চোখে পানি চলে আসে। এই মানুষটাকে ছাড়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
📅 ৩ মাস পরে: সেই দিন
ঠিক ৩ মাসের মাথায় অভি প্রথম ৩০০ ডলারের কাজ পায়। আর এরপরই শুরু হয় তার নতুন জীবন। সে প্রথমবার মিথিলাকে নিয়ে যায় একটা ছোট রেস্টুরেন্টে। পুরোনো সেই রেস্টুরেন্ট, যেখানে জন্মদিনের “শাস্তি” হয়েছিল।
আজকের চেহারা আলাদা—অভির চোখে আত্মবিশ্বাস, পকেটে ইনকাম, আর হাতে একটুকরো ছোট গোল্ডেন বাক্স।
খাওয়ার শেষে হঠাৎ হাঁটু গেড়ে বসে—
— “মিথিলা, তুই শুধু আমার প্রেমিকা না, আমার সাহস, আমার প্রেরণা, আমার সবকিছু। তুই কি আজীবনের জন্য আমার হয়ে যাবি?”
সেই বাক্স খুলতেই একটা ছোট্ট আংটি ঝলসে ওঠে মোমবাতির আলোয়।
মিথিলার চোখে জল, কিন্তু মুখে প্রশান্তির হাসি। সে ধীরে ধীরে বলে—
— “শাস্তি দিয়ে ভালোবাসা বুঝিয়েছিলাম… এখন তোর ভালোবাসার কাছে আমি হেরে গেলাম। হ্যাঁ, আমি সবসময়ের জন্য তোর।”
প্রেম মানে শুধু রোমান্স নয়, প্রেম মানে ত্যাগ, সংগ্রাম আর জয়।
অভি আর মিথিলার প্রেম সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে—একটা “শাস্তি” থেকে শুরু হওয়া প্রেম পৌঁছে গেছে জীবনসঙ্গী হবার সিদ্ধান্তে।
তারা হয়তো এখনো বিয়ে করেনি, কিন্তু তারা ঠিক করেছে, একসাথে লড়বে, একসাথে বাঁচবে। আর সেই গল্প চলতেই থাকবে…
Best love story In Bangla
মিথিলার জন্মদিনে তার নাটকীয় “শাস্তি” অভিকে কাঁদিয়ে দিয়েছিল। এরপর অভি নিজের জীবন গুছিয়ে মিথিলাকে প্রপোজ করে—তাদের ভালোবাসা জয় পায় বাস্তবতার কাছে।
এখন তারা বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে, প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে এবার স্বামী-স্ত্রী হবার পথে।
🌸 বিয়ের দিন: ভালবাসার নতুন পরিচয়
জুন মাসের এক সকাল। শহরের একটি ছোটো কমিউনিটি সেন্টারে অভি-মিথিলার বিয়ে হচ্ছে। বেশি আয়োজন না হলেও, সবকিছুতেই আন্তরিকতা।
মিথিলা লাল বেনারসিতে, অভি পাঞ্জাবি-পাজামা পরে একদম ঘাবড়ে গেছেন। জীবনে প্রথমবার ‘স্ত্রী’ ডাক পাবেন—ভাবতেই গা ছমছম করছে।
বিয়ের সময় পুরোহিত যখন বললেন, “এক এখন থেকে স্ত্রী-পতি”—মিথিলা নিচু গলায় বলে ফেলে—
— “এবার তো আমাকে আর শাস্তি দিতে পারবে না, হ্যাঁ?”
অভির হেসে ওঠা গলায় উত্তর—
— “না রে পাগলি, এবার সারাজীবন প্রেম দিয়েই শোধ দেব সব শাস্তি।”
👫 সংসার শুরু: ছোট ঘর, বড় স্বপ্ন
বিয়ের পর ওরা একটা ছোট্ট ভাড়া বাড়িতে উঠল। সেমি-ফার্নিশড, দুই রুমের একটা ফ্ল্যাট। দেয়ালে নতুন ক্যালেন্ডার, ফ্রিজে অভির হাতে লেখা নোট:
“তুমি থাকলে ঘরও রাজপ্রাসাদ, তুমি না থাকলে প্রাসাদও খালি।”
মিথিলা সকালে অফিস করে, অভি ফ্রিল্যান্সিং-এর কাজ করে রাতভর। কখনো রুটি পুড়ে যায়, কখনো ঝোল বেশি নুন হয়ে যায়—তবু সবকিছুতে মজা, প্রেম।
একদিন রাতে:
— “আচ্ছা, সংসার করতে কেমন লাগছে?” — মিথিলা জিজ্ঞেস করল।
অভি উত্তর দিল—
— “দারুণ! তবে রান্না একটু ভয়ঙ্কর!” (হাসে)
মিথিলা বালিশ ছুঁড়ে মারতে যায়—
— “তাইলে খেয়েছো কেনো?”
— “ভালোবাসায় রান্না করলে নুন বেশি হলে সেটা ভালোবাসা বেশি হয় রে!” — বলে অভি মিষ্টি হাসে।
👶 পরিবার ও চাপ: ভালোবাসা vs বাস্তবতা
বিয়ের ৮ মাস পরে, পরিবার থেকে চাপ আসতে লাগলো—
“কবে বাবা হবি?”
“মেয়ে তো বয়সে বড়, দেরি করা ঠিক না।”
“ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে কতদিন চলবে?”
এইসব প্রশ্ন মিথিলার কানে বড্ড বাজে। সে একটা সন্তান চায়, কিন্তু চায় না অভি চাপের মধ্যে পড়ুক।
একদিন রাতে অভিকে জড়িয়ে ধরে বলল—
— “তুমি বলো, তুমি বাবা হতে প্রস্তুত?”
অভি মৃদু হাসে—
— “আমি প্রতিদিনই তোমার জন্য যুদ্ধ করি, এবার আমাদের জন্য যুদ্ধ করব। কিন্তু আমি চাই, সন্তান আসার আগে একটু আর গুছিয়ে নিই। যাতে ওকে একটা ভালো জীবন দিতে পারি।”
মিথিলা তার গালটা ছুঁয়ে বলে—
— “তোমার চিন্তাটাও প্রেমের মতোই পরিণত হয়ে গেছে।”
💻 অভির বিজনেস: ছোট্ট উদ্যোগ, বড় আশ্বাস
অভি এবার শুধু ফ্রিল্যান্সার নয়, সে দুজন ছেলেকে নিয়ে একটা ডিজিটাল এজেন্সি শুরু করল—AB Media Lab।
মিথিলার সাহায্যে তারা প্রথম ছোট্ট ক্লায়েন্ট পেল—একটি নারীদের বুটিকের ডিজিটাল মার্কেটিং।
প্রথম ইনভয়েস জমা পড়ে ১২,০০০ টাকা।
অভি সেই টাকা দিয়ে মিথিলার জন্য একটা ছোট্ট গোল্ড প্লেটেড চেন কিনে আনে।
— “তুমি তো আমার জন্য সব করেছো। এবার একটু উপহার তোমার জন্য।”
— “এই চেনের দাম নেই, কিন্তু চেন দেয়ার পেছনে যে সম্মান আছে—সেটার দাম অসীম।”
🌠 একটা বিশেষ রাত: চিরকাল পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি
দুজন মিলে ছাদে বসে ছিল, হাতের মধ্যে চা, পাশে একটা পুরোনো স্পিকার থেকে বাজছিল—
🎵 “তুমি রবে নিরবে, হৃদয়ে মম…”
মিথিলা হঠাৎ অভিকে জিজ্ঞেস করল—
— “তুমি কি কখনো ভয় পাও সংসার ভেঙে যাওয়ার?”
অভি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলে—
— “ভয় পাই, কিন্তু জানো কি, সেই ভয়টাই আমাকে আরও বেশি ভালোবাসতে শেখায়। আমি প্রতিদিন তোমার জন্য একটু বেশি মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি। যাতে তুমি আমার থেকে কখনো দূরে না যাও।”
মিথিলা তখন অভির কাঁধে মাথা রেখে চুপ করে থাকল। সেই নিস্তব্ধতা, সেই ভালবাসা—শব্দ দিয়ে বোঝানো যায় না।
Love Story In Bangla
সংসারের গল্প, প্রেমের পরিণতি
“ভালোবাসার শাস্তি” দিয়ে শুরু হওয়া একটা নাটক এখন রূপ নিয়েছে এক পরিণত দাম্পত্যে।
তাদের প্রেম এখন আর শুধু হাসি-ঠাট্টা নয়, এখন সেটা দায়িত্ব, বন্ধুত্ব আর একে অন্যের হয়ে লড়ার গল্প।
তারা এখনো বড়লোক নয়।
তারা এখনো বড় ফ্ল্যাটে থাকে না।
কিন্তু তারা ভালোবাসায় বড়লোক।
তাদের জীবনের প্রতিটা সন্ধ্যায়, এক কাপ চা, কিছু গল্প, আর একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার।