–-হ্যালো, কে? অভি । ভালো আছিস? আচ্ছা শোন একটা প্রব্লেমে পরেছি। আমার ফোনটা না আজকে হঠাত করে অফ হয়ে গেছে। কি করি এখন বল না। (রেনু )
–কি বলিস? কিভাবে?
–সেইটা পরে জানলেও হবে বুদ্দু। 😫
অনেক ফরমুলা ট্রাই করেও ফোনটা অন হচ্ছে না।
কিছুক্ষন পর,,,,
রেনু –ওই শোন তুই কালকে সকালে ঠিক ৯ টায় আমার প্রাইভেটের সামনে দারাইস। রাখি এখন, মায়ের ফোন থেকে কল দিয়েছিলাম লুকিয়ে।বাই
(ওপাশ থেকে কোনো কিছু বলার সুযোগ টুকুও দিলো না)
কল টা কেটে গেলো।
New Best Bangla Love story
ঠিক সময় মতোই অভি কথামতো জায়গায় দাড়ালো।
দূর থেকে আবছানি মুখ দেখতে পেয়েই সে এগিয়ে গেলো রেনুর দিকে।
ভালো মন্দ কথা না বলেই ফোনটা হাতে ধরিয়ে দিয়েই চলে গেলো।
–ওমা কিরে রেনু একটু হাসি দিলি না!
— হিহিহি
–এইটা হাসি? না কেলানি। দে না প্লিজ।
–কান্না করমু কিন্তু, জোর করে হাসা যায়? গরু
–ঠিক আছে যা। এইবার চালিয়ে নিলাম এই কেলানি তেই।
কাস্টমার সার্ভিস থেকে টানা সকাল থেকে বিকেল অবদি বসে থেকে ফোন টা ঠিক করিয়ে মেয়েটার বাড়িতে দিতে গেলাম। বাড়ির ভেতরে না আসার কারনে পাগলিটার খুব গাল ফুলে। আর সেটা অভি বুঝতে পারলো। কিন্তু ক্লান্ত থাকায় তখন আর কিছু বলে নি।অভি বাড়িতে গিয়ে আবার ফোন দিলো পাগলিটাকে
টুট ,,,,, টুট,,,,
রেনু –বলুন
–কি রে পাগলি কি হইছে রাগ করলি যে
–এমনি রঙ লাগছে।
–উহু এমন করিস না। সোনা ময়না জাদু লক্ষি বাবুনি আমার রাগ করে না। জানস আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম, সেই সকালে গেছি তোর ফোন ঠিক করতে একটু আগে ফিরেই তোর ফোন বেক করতে গেলাম।প্লিজ রাগ করিস না।
— কিহ??? তার মানে তুই এখন কিছু খাস নি সারাদিনে??😡😡😡😡
–না মানে। ওই তোর শখের ফোন তাই আমি বসে থেকেই,,,,,,,,
–হইছে থাম।আমাকে আর ফোন করবি না।
–ওমা কি ,এমন করিস না পিলিজ তুই রাগ করলে আমার ভালো লাগে না, জানস না কি?
— কেন? আমি তোর কে হই?
— সেইটা জানিনা তবে তুই রাগ করলে বুকের বাম পাশে খুব ব্যাথা লাগে রে পাগলি।
রেনু — (চুপ)
অভি –কি কথা বল?
রেনু — (কান্না জরিত কন্ঠে)
কুত্তা বান্দর বিলাই তুই এক্ষুনি যা টইলেটে। গোসল করে খাবি পরে আমাকে নক দিবি।
অভি -এক্ষনি যাচ্ছি বাবুনি।
কিছুক্ষন পর,,,
–বাবু একটা কথা বলবো আজকে।
–বল
–আমি
–হ্যা তুই।
–আসলে আমি,
–আসলে তুই?
–না মানে আমি,
–না মানে তুই (রেগে গিয়ে)
–আমি না খুব ভালোবেসে ফেলছি।
—😡😡😷😷😷
কারে? কে সে? কোন হারামি?
— হারামি বলিস না। আমার খারাপ লাগে।
–অরে বাবা, খুবি ভালো প্রেম জমাইছিস।গুড ভালো থাকিস তোর অই শাঁকচুন্নি কে নিয়ে।
— আই আই আই আই লাভ ইউ।
–কিহ!!!!
–উহুম উহুম,,, আই লাভ ইউ পাগলি।
–জানিনা যা ভাগ
–বলবি না?
–আগে নন স্টপ ফুচকা খাওয়া পরে বলবো 😜😜
–আগে বল পরে ফুচকা
–উহুম উহুম।ইয়ে মানে,
–মানে মানে কি?
–আই লাভ ইউ টু। কিন্তু কথা দে যে তুই আমার পাশে সব সময়ই থাকবি।
কি? সব ভালোবাসা যে বয়ফ্রেন্ড আর গার্ল ফ্রেন্ডের মাঝে হবে তা কি কোনো শর্তে আছে? না নেই। হ্যা।
অভি আর রেনুর প্রেম যেন আরও মধুর হয়ে উঠল। ছোটখাটো কথার মাঝে যে গভীর ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে, তা তাদের প্রতিটি মুহূর্তে ফুটে উঠত।
Best Bangla valobasar golpo 2025
একদিন সন্ধ্যায় অভি রেনুকে ফোন করল:
– “পাগলি, কি করছিস?”
– “তুই ফোন না করলেই ভালো থাকতাম,” রেনু রেগে বলল।
– “উফফ, আবার রাগ করেছিস? এখন কি হয়েছে বল তো?”
– “আজ সারাদিন একবারও খোঁজ নিলি না! আমি কি তোর কাছে একটুও গুরুত্বপূর্ণ না?”
অভি একটু হাসল আর বলল:
– “তুই জানিস না, তোকে ছাড়া একটা মিনিটও ভালো লাগে না। সকাল থেকে অফিসের কাজ শেষ করেই ভাবছিলাম তোকে চমকে দেব। বাইরের বারান্দায় একটু দেখ তো।”
রেনু জানালার কাছে গিয়ে দেখে অভি দাঁড়িয়ে আছে, হাতে লাল গোলাপের তোড়া আর কেক। রেনুর মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল।
– “কেলানি তো খাবি, কিন্তু আগে কেকটা নিয়ে আয়।”
অভি হেসে উপরে উঠে এল।
কেক কাটার পর রেনু বলল,
– “এত তো খাটুনি করিস আমার জন্য, তুই কি পাগল?”
– “হ্যাঁ, তোকে ভালোবাসার জন্য পাগল। তুই যদি ভালো থাকিস, আমার সব ক্লান্তি মুছে যায়।”
রেনু মুগ্ধ হয়ে অভির দিকে তাকিয়ে রইল।
সেদিন তাদের ভালোবাসা আরও গভীর হল। রেনু প্রতিজ্ঞা করল, যে সুখ অভি তাকে দিচ্ছে, তা সে কখনোই হারাতে দেবে না।
অভি আর রেনুর জীবনে নতুন এক অধ্যায় শুরু হল। অভি ঠিক করল, রেনুর জন্মদিনে তাকে চমকে দেবে। রেনুকে কিছু না জানিয়েই অভি বন্ধুদের নিয়ে প্ল্যান করে ফেলল।
রেনুর জন্মদিনের আগের রাতে অভি ফোন করল:
– “পাগলি, কাল কি করছিস?”
– “তোর সাথেই তো সময় কাটাব। কিন্তু কোনো সারপ্রাইজ যেন না আসে, আগে থেকেই বলে রাখছি।”
– “ঠিক আছে, কোনো সারপ্রাইজ নেই।”
Bengali romantic love story
পরের দিন সকালে রেনু দেখে অভি তাকে ঘুরতে নিয়ে যেতে এসেছে। অভির ভেতরের উত্তেজনা সে কিছুতেই চাপতে পারছিল না। তারা শহরের পাশের এক ছোট্ট পাহাড়ে গেল।
রেনু জিজ্ঞাসা করল,
– “তুই এত চুপ কেন আজ?”
অভি বলল,
– “তুই কি জানিস, আমার জীবনটা তোকে ছাড়া অসম্পূর্ণ। আজ আমি একটা কথা বলতে চাই।”
এমন সময়, পাহাড়ের চূড়ায় এক সুন্দর ব্যানার ঝুলে আছে যেখানে লেখা, “Happy Birthday, My Love!” রেনুর চোখে জল চলে এল।
অভি হাঁটু গেড়ে বসে বলল,
– “রেনু, তুই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। আমি চিরদিন তোর পাশে থাকতে চাই। তুই কি আমার সাথে সারা জীবন থাকবে?”
রেনু চোখ মুছে বলল,
– “অভি, আমি জানতাম না তুই আমাকে এত ভালোবাসিস। অবশ্যই আমি তোর সাথেই থাকব।”
সেদিন তারা নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করল। জীবন যত কঠিনই হোক, তারা প্রতিজ্ঞা করল একে অপরের হাত কখনো ছাড়বে না।