---Advertisement---

Love and relationship story in Bengali: তোমাতে আমার শুরু

Published On:
Love and relationship story in Bengali
---Advertisement---

ভালোবাসা শব্দটার মধ্যে যতটা সহজত্ব আছে, বাস্তবে সেটা ঠিক ততটাই জটিল। কখনো কখনো ভালবাসার মানুষকে আমরা কাছে পেলেও সময়ের একটুখানি চাপে হারিয়ে ফেলি। আর তারপর সেই হারানোর খোঁজে কেটে যায় জীবনের অনেকগুলো দিন। আমি আর সায়নী — আমাদের গল্পটাও ঠিক এমনই এক টুকরো বাস্তবতা।

তিন বছর আগের কথা। তখন আমরা কলেজে পড়ি। সায়নী আর আমি একই বিভাগে, একই ক্লাসে। প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর ধীরে ধীরে একে অপরের প্রতি একটা টান তৈরি হলো। ক্লাসের প্রজেক্ট হোক বা গ্রুপ স্টাডি, সব কিছুতেই আমরা একসাথে। একসময় দুজনেই বুঝতে পারলাম, এ শুধু বন্ধুত্ব নয়— এটা ভালোবাসা।

একদিন সন্ধ্যেবেলা কলেজ ক্যাম্পাসের পাশে লেকের ধারে হাঁটছিলাম আমরা। চারপাশে হালকা আলো, আর মাথার উপর নরম মেঘেদের খেলা। আমি সাহস করে বলেছিলাম, “সায়নী, তোকে আমি একটু বেশি ভালোবাসি। বন্ধু হিসেবে না… একজন প্রেমিক হিসেবে।”

সায়নী একটু চুপ করেছিল, তারপর হেসে বলেছিল, “আমি তো অনেক আগেই প্রেমে পড়ে গেছি তোকে… শুধু বলার সাহস পাইনি।”

সেই শুরু। এরপর কেটে গেলো এক বছর। আমরা অনেক সুখের মুহূর্ত কাটালাম একসাথে—বৃষ্টির দিনে চা-পরাটার সঙ্গে রিকশার ভ্রমণ, কলেজ ফেস্টে একসাথে পারফর্ম করা, আর রোজকার ছোটখাটো ঝগড়া।

কিন্তু জীবনে সবকিছু যেমন একরকম চলে না, আমাদের সম্পর্কেও শুরু হলো ঝড়।

আমার এক সিনিয়রের কাছ থেকে একটা ভালো চাকরির সুযোগ আসে কলকাতায়। আমি দ্বিধায় পড়ে যাই। পড়াশোনা শেষ না হতেই এমন সুযোগ, হাতছাড়া করবো না ভাবি, কিন্তু সায়নীকে ছেড়ে যাওয়াটা যেন বুকের ভেতর কাঁটা হয়ে বসে।

আমি সায়নীকে বলেছিলাম, “শুধু দুটো বছর… তারপর স্থির হবো, নিজের একটা অবস্থান হবে, তখন তোকে বিয়ে করে একেবারে নিয়ে আসবো।”

কিন্তু সায়নী সেটা নিতে পারেনি। ওর মনে হলো আমি কেরিয়ারের জন্য ওকে ত্যাগ করছি। আমরা প্রচণ্ড ঝগড়া করি, এমনকি একে অপরকে দোষারোপ করি। শেষমেশ একদিন সায়নী বললো, “তুই যা চাস কর, আমার জীবন থেকে সরে যা।”

আমি চলে এসেছিলাম। মন ভেঙে গেছিল, কিন্তু ওর ভালো চাইতাম বলেই ভাবলাম সময়ই সব ঠিক করবে।

দু’বছর কেটে গেলো। আমি এখন কলকাতায় এক নামী সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করি। বাড়ি থেকে চাপ বাড়তে থাকে বিয়ের জন্য। আমি জানিয়ে দিলাম, “মেয়েটা যদি ভালো হয়, তাহলে একবার দেখে আসবো।”

মা-বাবা একটা প্রস্তাব পাঠালো—মেয়ে, শিক্ষিতা, বাড়ির পাশের জেলা থেকেই। বিয়ের জন্য ওর বাড়িতে যেতে হবে। আমি রাজি হলাম। কোথাও এক অদ্ভুত শূন্যতা কাজ করছিল, কিন্তু নিজের কষ্টগুলোকে সামলে নিয়ে হাঁটছিলাম ভবিষ্যতের দিকে।

যেদিন আমরা মেয়ের বাড়িতে পৌঁছালাম, আমি একটু নার্ভাস। মনের মধ্যে হাজারো প্রশ্ন, যদি ও… যদি সায়নী হয়? আবার নিজেকেই বোঝালাম, না না, সেটা সম্ভব না। এত বড় পৃথিবী, এত coincidence হয় না।

মেয়ের বাড়িতে ঢোকার পর সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় চলছিল। একসময় আমাকে ওর ঘরে বসতে বলা হলো—যেখানে ‘মেয়ে’ এসে আলাদা করে কথা বলবে।

আমি ঘরে ঢুকে চেয়ারে বসে আছি। দরজাটা খুলে গেলো। চোখ তুলে তাকাতেই আমি স্তব্ধ!

সামনে দাঁড়িয়ে সায়নী।

আমার প্রেমিকা।

আমার প্রথম ও শেষ ভালোবাসা।

সেও স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। কয়েক সেকেন্ড যেন সময় থেমে গেছিল। একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে সে আস্তে করে বলল, “তুই… তুই এখানে?”

আমি ধীরে বললাম, “তুইই না বর হওয়ার জন্য পাত্রী দেখতে ডেকেছিস?”

আমাদের মাঝের নিঃশব্দতায় যেন পুরনো দিনের সব স্মৃতি একে একে ফিরে আসছিল। ভালোবাসা, ঝগড়া, ভুল বোঝাবুঝি, বিচ্ছেদ… সব কিছু।

আমি একটু হেসে বললাম, “তোর জীবনে কেউ নেই বুঝি? ভাবছিলাম তুই হয়তো অনেক আগেই কাউকে ভালোবেসে বিয়ে করে নিয়েছিস।”

সে মুখ নামিয়ে বললো, “ভেবেছিলাম তুই ফিরবি… অপেক্ষা করেছি।”

আমি তখন নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি। আস্তে করে বললাম, “তুই কি এখনো আমাকে ভালোবাসিস?”

সে চোখ তুলে তাকিয়ে বলল, “ভালোবাসা তো একবারই হয়… তুই ছাড়া কারও সঙ্গে সেটা কখনো অনুভব করিনি।”

আমি একটু হেসে বললাম, “তাহলে এই বিয়েটা… এটা স্রেফ নিয়তির খেলা না?”

সে বলল, “হয়তো, কিন্তু এখন তো তুই শুধু আমার প্রেমিক না… তুই আমার হবু বর।”

আমি হাসলাম। মনে হচ্ছিল, যেন তিন বছর আগের সেই ভালোবাসা ফিরে এলো নতুন রূপে।

বিয়েটা শেষ হয়েছে বেশ ধুমধাম করে। শুভ আর নীলার হাসি মুখের আড়ালে কেউ বুঝতেই পারল না, এই বিয়েটা ছিল একটা অসমাপ্ত প্রেমের পুনর্মিলনের গল্প।

তবে গল্প এখানেই শেষ নয়… এটা তো শুধু শুরু।

বিয়ের পর প্রথম রাত —
নীলা আয়নার সামনে বসে ছিল, লাল শাড়ি আর সিঁথির সিঁদুর যেন তাকে এক নতুন রূপে সাজিয়ে তুলেছে। ওর চোখে-মুখে একটা মিশ্র অনুভূতি—কিছুটা লজ্জা, কিছুটা ভয়, আর অনেকটা ভালোবাসা।
শুভ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে এক দম চুপ। দরজাটা বন্ধ। সে জানে, ভিতরে ওর সেই নীলা আছে—যার জন্য সে বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছে।
হঠাৎ দরজা খুলে গেল।
নীলা মাথা নিচু করে বলল,
— “আসবে না?”

শুভ হেসে বলল,
— “ভেবেছিলাম, রাগ করেছো… তখন কিছু না বলেই চলে গিয়েছিলে।”

নীলা ধীরে ধীরে বলল,
— “তুমি যেদিন ছেড়ে গিয়েছিলে, সেদিন আমি কাঁদিনি। শুধু মনে মনে ঠিক করেছিলাম, যদি কখনো ফিরে আসো, তাহলে আর ছাড়বো না।”

শুভ কাছে গিয়ে ওর হাতটা ধরল।
— “আমি আর কখনো হারাতে চাই না তোমায়, নীলা।”

রাতভর তারা শুধু কথা বলেছিল। পুরনো দিনগুলোর কথা, ছোট ছোট ভুল বোঝাবুঝি, মনের ভেতরের অভিমান… সব যেন ধীরে ধীরে গলে গেল।

পরদিন সকালে—
নীলার বাড়ির সকলে খুব খুশি। নতুন বউ আর জামাইকে নিয়ে অনেক প্ল্যান। আর শুভ? সে যেন নিজের পুরনো পৃথিবী আবার খুঁজে পেয়েছে।

কিন্তু গল্পে মোড় তখনই আসে, যখন হঠাৎ শুভর ফোনে একটা কল আসে—
— “হ্যালো শুভ, আমি রিয়া বলছি। তোর সাথে কিছু দরকারি কথা আছে।”

নীলার সামনে শুভ একটু অস্বস্তিতে পড়ে গেল।
নীলা বলল,
— “কে ছিল?”

শুভ একটু থেমে বলল,
— “এক বন্ধু… পুরোনো।”

নীলা তখনও হেসে বলেছিল,
— “বন্ধু মানে… রিয়া?”

শুভ অবাক হয়ে গেল।
— “তুমি জানো?”

নীলা বলল,
— “তোমার জীবনের সবটুকুই জানতে চাই, শুভ। শুধু আমার হোক তোমার অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ… সব।”

শুভ চুপ করে ওকে জড়িয়ে ধরল।
— “সবই তোমার, নীলা।”

কয়েকদিন পর—

রিয়া আবার দেখা করতে চাইল। শুভ একটু দোটানায় পড়ে গেল। দেখা করা উচিত হবে কি না।
কিন্তু নীলা নিজেই বলল,
— “যাও। মুখোমুখি না হলে অতীত কখনো শেষ হয় না।”

রিয়ার সাথে দেখা করে শুভ বুঝল, অতীত তার পেছনে নেই আর। সে শুধু একজন মানুষের পাশে চিরদিন থাকতে চায়—নীলার পাশে।

Bengali story about love turning into marriage

সেই রাতে শুভ বলেছিল,
— “নীলা, আজ বুঝেছি, শুধু প্রেম করলেই হবে না… প্রেমকে রক্ষা করতেও সাহস লাগে। আমি ভাগ্যবান, তুমি আমাকে সেই সাহস দিয়েছো।”

নীলা হেসে বলল,
— “তুমি শুধু প্রেমিক নও এখন… তুমি আমার বর। আর ভালোবাসার বরের থেকে বড় কিছু হয় না।

বিয়ের পর প্রথম মাসটা যেন স্বপ্নের মতো কেটেছিল।

শুভ অফিসে গেলেও নীলা সারাদিন বরের জন্য রান্না করত, ঘর সাজাত, আর বিকেলে জানলার পাশে বসে শুভর অপেক্ষা করত। আর শুভ অফিস থেকে ফিরেই ছুটে এসে বলত—
“একটা জাদু আছে তোর হাতে… রান্না হোক বা হাসি, দুটোতেই আমি হেরে যাই!”

কিন্তু সময়টা কি সবসময় এমন থাকে?

দু’মাস পর—

এক সন্ধ্যায় নীলা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিল, শুভ একটু দেরি করছিল। ফোন করতেই শুভ একটু বিরক্ত স্বরে বলল,
— “নীলা, একটু মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলি?”

নীলা হতাশ হয়ে বলল,
— “তুমি ঠিক আছো তো?”

— “হ্যাঁ, কিন্তু এমন সময় ফোন করো না তো!”

ফোন কেটে গেল।
নীলা চুপ করে বসে পড়ল। মনে মনে ভাবল—
“ভালোবাসা কি একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে?”

শুভ প্রতিদিন একটু দেরিতে ফিরতে লাগল, কখনও ফোনে কথা বলতে বলতে অন্য ঘরে চলে যেত।
নীলা একটু একটু করে অবসাদে ডুবে যাচ্ছিল।

একদিন রাতে, নীলা জিজ্ঞাসা করল,
— “তুমি কি ঠিক আগের মতো আমাকে ভালোবাসো?”

শুভ থমকে গেল।
— “এই প্রশ্ন কেন করছো?”

নীলা চুপ করে বলল,
— “তোমার চোখে আগের সেই প্রেম দেখি না আর। তুমি আর আমার ছোট ছোট কথায় হেসে উঠো না।”

শুভ হতভম্ব হয়ে গেল। সে বুঝল, সে হয়তো নিজের কাজের চাপে এমন আচরণ করছে, যা সে নিজেও খেয়াল করেনি।

সে নীলার হাত ধরে বলল,
— “নীলা, আমি আজও তোমায় ঠিক সেভাবেই ভালোবাসি। কিন্তু আমি হয়তো বুঝতে পারিনি, আমার ব্যস্ততা তোমায় কষ্ট দিচ্ছে। আমি বদলে যাবো, আমি কথা দিচ্ছি।”

নীলার চোখে তখন জল… ভালোবাসার জল।

তারপর কিছুদিন খুব ভালো কেটেছিল। তারা একসাথে সিনেমা দেখতে যেত, পুরনো কলেজের গল্প করত, মাঝরাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে চা খেত।
জীবন আবার যেন প্রেমিক-প্রেমিকার সেই সুন্দর ছায়ায় ফিরে আসছিল।

হঠাৎ একদিন…

নীলার শরীরটা খারাপ লাগছিল। মাথা ঘুরছিল বারবার। শুভ খুব চিন্তিত হয়ে নিয়ে গেল ডাক্তারের কাছে।

ডাক্তার টেস্ট করে হেসে বললেন,
— “বধূমা, আপনি মা হতে চলেছেন।”

নীলা প্রথমে চুপ, তারপর ধীরে ধীরে চোখ মেলে শুভর দিকে তাকাল।

শুভ এক ঝটকায় ওকে জড়িয়ে ধরল।
— “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার তুমি দিয়েছো, নীলা!”

নীলা বলল,
— “তুমি বলেছিলে না, আমি তোমার সবকিছু হয়ে যাবো… আজ সত্যি হল সেটা। আমি শুধু প্রেমিকা বা বউ নই, এখন আমি তোমার সন্তানের মা।”

আর সেই মুহূর্তে, ওদের জীবনের সব ঝড় এক মুহূর্তে থেমে গেল।

তারা জানল, প্রেমিক থেকে বর হওয়ার পরে, এখন সময় এসেছে মা-বাবা হয়ে ওঠার।

রাত তখন ৩টা। বাইরের জগৎ নিস্তব্ধ। একটা একটা করে সেকেন্ড কেটে যাচ্ছে, অথচ তুম্পার চোখে এক ফোঁটা ঘুম নেই।

পেটের মধ্যে অদ্ভুত এক টান টান অনুভব। অস্বস্তি লাগছিল।

তুম্পা পাশ ফিরে রাহুলকে দেখল—একদম বাচ্চার মতো মুখ করে ঘুমোচ্ছে ছেলেটা। মাথার পাশে হাত, এক হাত তুম্পার কোমরে রাখা।

তুম্পার কেমন যেন লাগল—এই মানুষটা এখন তার পৃথিবী। যাকে নিয়ে একসময় কত ভয়, সন্দেহ, মান-অভিমান ছিল, সে আজ তার ভরসা।

হঠাৎ আবার পেটে মোচড় দিয়ে উঠল।

— “উফ্… রাহুল…”
আস্তে করে ডেকে উঠাল তুম্পা।

রাহুল ঘুম জড়ানো চোখে উঠে বসল, “কি হোল? ব্যথা করছে আবার?”

— “হ্যাঁ… খুব অস্বস্তি লাগছে রাহুল। একটু উঠে বসাও আমায়। শুয়ে থাকতে পারছি না।”

রাহুল এক ঝটকায় উঠে তুম্পাকে ধীরে ধীরে বসিয়ে দিল। তারপর জলের বোতল এগিয়ে দিয়ে বলল, “জল খাও। আর আমি পিঠে মালিশ করি?”

তুম্পা হালকা হেসে বলল, “আরে, এত রাতে? না থাক, একটু বেটার লাগছে এখন।”

রাহুল গম্ভীর মুখে বলল, “না, তুই এখন তুই নোস, তুই দুই। তোকে একটু বাড়তি যত্ন নিতেই হবে।”

তুম্পা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল ওর মুখের দিকে। একটা সময় ছিল, যখন রাহুল শুধু প্রেমিক ছিল। এখন সে একজন স্বামী, আর একটা জীবনের বাবাও হতে চলেছে।

কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল দুজনে।
রাহুল আস্তে করে তুম্পার কাঁধে মাথা রেখে বলল,
— “তুই জানিস, আমার সবচেয়ে বড় ভয় কি?”
— “কি?”
— “তোকে যদি কোনোদিন হারাই… যদি কখনো তোকে কিছু হয়… আমি বাঁচব না তুম্পা।”

তুম্পা আবেগে চোখ ভিজিয়ে ফেলল। বলল,
— “আমারও তাই মনে হয় রাহুল। এই জীবনটা তোকে ছাড়া ভাবতেই পারি না।”

Heartfelt Bengali romantic blog story 2025

এক মুহূর্তের নীরবতা।
তারপর রাহুল উঠে গিয়ে তুম্পার পায়ের কাছে বসল। দুহাত দিয়ে পা টিপতে টিপতে বলল,
— “মা বলছিল, রাতে পা টিপে দিলে আরাম হয়। ঠিক বলছে মনে হচ্ছে।”

তুম্পা হেসে বলল, “তুই একদম জামাই বাবু টাইপ হয়ে যাচ্ছিস!”
রাহুল হাসল, “না রে পাগলি, জামাই নয়, আমি হব তোর সন্তানের বাবা… ওর জন্য তোর সব কষ্ট আমি নিতে রাজি।”

রাতটা এভাবেই কেটে গেল।
ভোরের আলো জানালার ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়েছে। রাহুল এক কাপ দুধ আর একটা বাটিতে চিঁড়ে আর কলা নিয়ে এসে বলল,
— “খালি পেটে বেশিক্ষণ থাকা চলবে না। খা তাড়াতাড়ি।”

তুম্পা অবাক হয়ে বলল, “তুই এগুলো জানলি কোথা থেকে?”
রাহুল হেসে বলল, “গুগল তো আছে না! আর তোর হাসি ফিরিয়ে আনতে হলে আমাকে একটু আপডেটেড হতেই হবে।”

তুম্পা কিছু বলল না। শুধু চুপচাপ তাকিয়ে রইল রাহুলের মুখের দিকে—এই মানুষটা শুধু তার প্রেমিক নয়, তার স্বামী, তার নিরাপত্তা, তার ভালোবাসা, তার পৃথিবী।

তারপর নিজের পেটে হাত রেখে আস্তে করে বলল,
— “শোন পুঁচকে, তোর বাবার মতো মানুষ যেন তুইও হও—যে ভালোবাসতে জানে, আগলে রাখতে জানে, আর মায়ের চোখের জল না পড়ুক সেটা বোঝার জন্য রাত জাগতেও জানে।”

সেদিন সকালটা খুবই অন্যরকম ছিল—ভালবাসায় মোড়া, এক অদৃশ্য বন্ধনে জড়িয়ে যাওয়া তিনটা প্রাণের গল্প।

Payel Mahato

I am Payel Mahato, a passionate storyteller who loves weaving emotions into words and crafting tales that touch hearts. As a Bengali love story writer, I specialize in creating narratives filled with romance, drama, and human connections that resonate deeply with readers.

---Advertisement---

Related Post

Leave a Comment