ভালোবাসার শুরু টা কখন হয়েছিলো আমি নিজেও বুজতে পারি নি
আমি ছোটোর থেকেই পড়াশুনার জন্য বাইরে ছিলাম কোনো দিন আমারো ভালোবাসা হবে বলে বুজতে পারি নি ,কিন্তু কোথায় আছে যেটা তুমি চাইবে না সেটাই তোমার সাথে হবে সেরকম আমার হয়েছিল। একবার আমার এক বন্ধু তার গার্লফ্রেন্ড এর সাথে দেখা করতে যাবার সময় আমাকে নিয়ে যায়, এর আগেও গেছিলাম অব্য়স আমি তার সাথে কিন্তু এবারের টা একটু আলাদা ছিলো।
একটা পার্কে আমাদের দেখা করার কথা ছিল তাই আমরা একটু আগেই গিয়েছিলাম, মোটামোটি ৫ মিনিট পর সোনালী এলো (সোনালী আমার বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড এর নাম ছিলো )। সোনালীও দেখছি ওর একটা বন্ধু কে নিয়ে এসেছে ,সেদিন ওদের দুজন কেই দেখতে খুব সুন্দর লাগলো আমরা চারজন কিছুক্ষন গল্প করার পর সোনালী বললো তোমরা দুজন একটু বসো এখানে আমরা আসছি একটু পরে বলে আমার বন্ধুর সাথে চলে গেলো। আমি সোনালীর ফ্রেন্ড এর সাথে বসে আছি ভেবেপাচ্ছিনা কি বলে কথা শুরু করবো ,আর কথা তো বলতেই হবে অতক্ষণ কি চুপ করে থাকা যায়
আমি:- কি নাম তোমার ?
সে:-দিয়া , আর তোমার কি নাম ?
আমি:- সৌরভ। ..তুমি কোন ক্লাস এ পড়ো ?
দিয়া:- ক্লাস টেন এ
আমি;- আচ্ছা তোমার কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে নাকি ?
দিয়া:- অরে না,না, ..তোমার কোনো gf নেই ?
আমি:- থাকলে কি আর এখন তোমার সাথে বসে থাকতাম।
দিয়া:- সেটাও ঠিক ,
আমি:- আচ্ছা তোমার এখনো কোনো bf নেই কেন
দিয়া:- সেরকম ছেলেই পাই নি যাকে ভালোবাসতে ইচ্ছা করবে।
আমি:- ও আচ্ছা,… তোমার তাহলে কি রকম ছেলে পছন্দ
দিয়া:- যাকে দেখলেই আমার ভালোবাসতে ইচ্ছা করবে ,এবং সে আমাকে খুব ভালোবাসবে
আমি:- এরকম ছেলে কিন্তু অনেক কম আছে
দিয়া:- তাই। .
আমি:- হুম
দিয়া:- আচ্ছা তোমার কিরকম gf চাই বললে না যে ?
আমি:- আমার অতো কিছু চাই না , আমাকে খুব ভালোবাসবে খেয়াল রাখবে আমার এরকম মেয়ে চাই ,
দিয়া:- এরকম মেয়েও কিন্তু কম আছে ভালো করে খুজবেন
সেদিন আমাদের আরোও অনেক কথা হলো। বাড়ি এসে দিয়ার কোথায় মনে পড়ছিলো ,তারপর ভাবলাম কাল সোনালীর সাথে কথা বলবো।
তার পরের দিন আমি সোনালী কে ফোন করি আমি
আমি:- তোমার সাথে এসেছিলো মেয়েটা কে গো ?
সোনালী:- ওটা আমার বন্ধু
আমি:- কোনো দিন তো আগে দেখিনি আগে
সোনালী:- না আগে ও বাড়ির থেকে স্কুল যাওয়া আসা করতো এই একমাস হলো আমাদের সাথে থাকছে।
আমি:- মেয়েটা কিন্তু ভালো ,
সোনালী:- হুম
আমি:- ওর কোনো bf নেই না ?
সোনালী:- না নেই ,… আর তুমি ওর এতো খোঁজ নিচ্ছ কেন বলতো ,..?
আমি:- আমার ওকে কাল কে দেখেই ভালোলেগে গেছে ,
সোনালী:- আচ্ছা আমি:- আচ্ছা কি। .তোমরাকে আমি এতো সাহায্য আর আমাকে করবে না ,
সোনালী:- করবো না কখন বললাম।,… ফোন নম্বর নেবে কি ওর ?
আমি:- দাও , আর আমি কাল কল করবো তুমি আগেই একটু বলে রাখবে ?
সোনালী:- কি বলে রাখবো ?
আমি:- ও ওটাও আমাকেই বলে দিতে হবে
সোনালী:- হ্যাঁ ,.. তুমি নয়তো কে বলবে
আমি:- আচ্ছা তুমি ওকে শুধু বলে রাখবে সৌরভ তোমাকে লাইক করে ,আর তোমার সাথে কথা বলতে চাই বাকি টা আমি দেখে নেবো তারপর ।
সোনালী:- আচ্ছা ok
সোনালী নাম্বার তো দিয়েছে ,কিন্তু কেন জানি না কল করতে আমার ভয় লাগছে ,যদি সে আমাকে খারাপ ভাবে , কিন্তু কল তো করতে হবেই তাই কল করলাম
দিয়া:- হ্যালো
আমি:- আমি সৌরভ বলছি ?
দিয়া:- ও হ্যাঁ বলো
আমি:- কেমন আছো ?
দিয়া;- ভালো আছি ,..তুমি কেমন আছো ?
আমি:- ভালো আছি
দিয়া:- তোমার এতো তাড়াতাড়ি আমাকে কি করে ভালোলেগে গেল
আমি:- জানি না কেন তোমাকে ভালোলাগে কিন্তু মনে হয় তুমি অন্য মেয়ের থেকে আলাদা , আর সব সময় তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে ,
দিয়া:- আচ্ছা
আমি:- হুম। …..আচ্ছা কাল দেখা করবে ?
দিয়া:- এতো জলদি তাড়াতাড়ি।
আমি:- শুভ কাজে দেরি করতে নেই
দিয়া:- আচ্ছা তাই
আমি:- হুম। ………তুমি বললে না আমার তোমাকে কেমন লাগে
দিয়া:- সেটা না হয় কাল কেই বলবো
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে কালকেই কথা হবে
দিয়া:- ok বাই
কালকে সকাল থেকেই একটা অদ্ভুত উত্তেজনা আর মিষ্টি টেনশন নিয়ে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। সোনালীকেও আগের রাতে বারবার ফোন দিয়ে নিশ্চিত করেছিলাম যে দিয়া ঠিক আসবে। কিন্তু তবুও যেন নিজের মনটাকে ঠিক শান্ত করতে পারছিলাম না।
সময় মতো রেডি হয়ে পার্কে গেলাম। মনে হচ্ছিল, আমার হাত-পা যেন সব কাঁপছে। আর দেরি হলো না, একটু পরেই দিয়া এসে হাজির। আজ দিয়া অন্যরকম সুন্দর লাগছিল। পরনে সাদা রঙের সালোয়ার, কপালে একটা ছোট্ট টিপ, আর মিষ্টি হাসি—আমার মন যেন কোথাও হারিয়ে গেল।

আমি: “তুমি কি সবসময় এত সুন্দর লাগে, নাকি আজ আমাকে ইমপ্রেস করার জন্য এমন?”
দিয়া: (মুচকি হেসে) “তোমার কথা যদি ঠিক হয়, তবে আমি কি ইমপ্রেস করতে পেরেছি?”
আমি: “হুম… একেবারে।”
আমরা একটু হাঁটতে শুরু করলাম। পার্কের নিরিবিলি পরিবেশ, পাখির কূজন আর দিয়ার সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত যেন একটা সিনেমার মতো লাগছিল। হাঁটতে হাঁটতে আমি হঠাৎ থেমে গেলাম।
আমি: “দিয়া, তোমাকে একটা কথা বলার ছিল।”
দিয়া: “বলো না, আমি শুনছি।”
আমি: “তোমাকে প্রথম দিন দেখেই কেন যেন মনে হয়েছিল, তুমি আমার জীবনে স্পেশাল। আর আজ তোমাকে বলতেই হবে—তোমার সঙ্গে সময় কাটাতে আমার খুব ভালো লাগে। তুমি কি আমার এই অনুভূতিটা বুঝতে পারো?”
দিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। হয়তো কিছু বলার জন্য শব্দ খুঁজছিল। তারপর মুচকি হেসে বলল,
দিয়া: “তুমি তো বলেছো শুভ কাজে দেরি করা উচিত নয়, তাই আমিও দেরি না করে বলি—তোমার সঙ্গ আমাকেও খুব ভালো লাগে। আর আমি ভাবছি, যদি আমাদের বন্ধুত্বটা আরও একটু গভীর করি, তাহলে কেমন হয়?”
আমার মনে হচ্ছিল যেন পুরো পৃথিবীটা এখন আমার। দিয়া আমার ভালোবাসার প্রতিদান দিল। আমরা আরও কিছুক্ষণ গল্প করলাম, জীবনের ছোট ছোট বিষয় নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করলাম। দিনটা মনে হলো স্বপ্নের মতো কেটেছে।